Shukhobor Desk

Shukhobor Desk

সোনার দাম বেড়েছে ১৮ বার

সোনার দাম বেড়েছে ১৮ বার

চলতি বছরে দেশে সোনার দাম রেকর্ড করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৯ বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।  এর মধ্যে দাম কমানো হয়েছে ১১ বার, বাড়ানো হয়েছে ১৮ বার। এ বছরই দেশে প্রথমবারের মতো সোনার দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। দাম বাড়ায় এ বছর নতুন নতুন রেকর্ড হয়েছে, বছর শেষে দেশের ইতিহাসে সোনার এখন সর্বোচ্চ দাম।  জানা গেছে, বছরের শুরুতে গত জানুয়ারিতে ভালো মানের, অর্থাৎ হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের ১ ভরি সোনার দাম ছিল ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। কয়েক দফা দাম বাড়ার পর গত ২১ জুলাই দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি সোনার দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়।  আর সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকায় পৌঁছায়, যা এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। জুয়েলার্স সমিতির সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের বাজারে এখন হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। আর হলমার্ক করা ২১ ক্যারেট সোনা ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬ হাজার ২৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট সোনা ৯০ হাজার ৮৬৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৬৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরের শেষদিনে নতুন করে দাম না বাড়লে এগুলোই এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যারেটে সোনার সর্বোচ্চ দাম।  স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ার মূল কারণ, গত এক বছরে বিশ্ববাজারে মূল্যবান এই ধাতুর দাম বেড়েছে। ২০২০ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (৩১ দশমিক ১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম (স্পট প্রাইজ) ২ হাজার ৭০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।  এতদিন ধরে সেটিই ছিল ইতিহাসে সোনার সর্বোচ্চ দাম কিন্তু ১ ডিসেম্বর সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় ওঠে সোনার দাম, আউন্সপ্রতি সোনা তখন বিক্রি হয় ২ হাজার ৭২ ডলার। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর সোনার দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৭৫ ডলারের ওপরে উঠে গেছে।  ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) হিসাবে, এটিই এখন পর্যন্ত ইতিহাসে সোনার সর্বোচ্চ স্পট প্রাইজ। সোনার মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা অন্যতম কারণ। গতবছর শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব এ বছরেও কমবেশি ছিল। এরসঙ্গে বছরের শেষদিক যুক্ত হয়েছে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ।  ডব্লিউজিসি বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্ববাজারে সোনার চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতন ও হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ। ডব্লিউজিসির হিসাবে, ভূরাজনৈতিক ঘটনাগুলোর কারণে এ বছর সোনার দাম ৩ থেকে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।  ডব্লিউজিসির আরেক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বের ২৪ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে হতাশায় রয়েছে। এ কারণে তারা সোনার রিজার্ভ বাড়াতে চায়। ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগামীবছরও অব্যাহত থাকবে।  পাশাপাশি ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তাইওয়ান, ভারতসহ বেশ কয়েকটি বড় অর্থনীতির দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এটিও সোনার দামে প্রভাব রাখতে পারে। এদিকে দীর্ঘদিন এক দরে স্থির থাকার পর চলতি মাসে রুপার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় জুয়েলার্স সমিতি। প্রতি ভরিতে রুপার দাম সর্বোচ্চ ৩৮৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১০০ টাকা।  এ ছাড়া ২১ ক্যারেট রুপা প্রতি ভরি ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহ-সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন কারণে চলতি বছর সোনার দামে বড় ধরনের ওঠানামা ছিল। আগামীবছরও সোনার উচ্চ চাহিদা থাকবে। তবে সোনার দাম ধারাবাহিকভাবে না বেড়ে একটি রেঞ্জ-বাউন্ড বা উচ্চ সীমার মধ্যে ওঠানামা করবে।

স্বাগত ২০২৪, বিদায় ২০২৩।

উদিত হয়েছে নতুন বছরের নতুন সূর্য। স্বাগত ২০২৪, বিদায় ২০২৩

অনাদিকাল থেকে সৌরজগতের নিখুঁত নিয়মে প্রতিদিন সূর্যোদয় হয়। প্রতিদিনের মতো আজও সূর্য উঠেছে। শীতের কুয়াশা সরিয়ে উঁকি দিয়েছে উজ্জ্বল রোদ। কিন্তু অন্য যে কোনো দিনের চাইতে আজকের ভোরের আলোতে যেন বেশি মায়া মাখানো। যেন নতুন স্বপ্নের কথা বলছে বলছে, সামনের দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে যাবে দেশে, পৃথিবীময়। আশাজাগানিয়া সূর্যকিরণ যেন সে দ্যুতিই ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যেকের প্রাণে, মনে। দুপুর গড়িয়ে আস্তে আস্তে তেজোদীপ্ততা ছেড়ে মলিন হতে শুরু করেছে সূয্যিমামা। ডিমের কুসুমের মতো গোলাকার সূর্যটা দেখে মনে হতে পারে কপাল জুড়ে লালটিপ দিয়ে সেজেছে বাংলার বধূ। তবে সাজবেই বা না কেন? তার যে বিদায় নেওয়ার পালা। আর এই সূর্যাস্ত শেষে দিবাগত রাতের প্রথম প্রহরেই প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসাব নিয়ে বিদায় নিল আরও একটি বছর। বিশ্বের বয়স বাড়ল আরও এক বছর। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা আর ‘হিংসা, হানাহানি, সাম্প্রদায়িকতা ও যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব’ দেখার প্রত্যাশার ঝাঁপি খুলে আজ সোমবার বিশ্বময় আশাজাগানিয়া যে নতুন সূর্যটি উঠেছে, সেটি নতুন বছরের। বিদায় ঘটনাবহুল ২০২৩, স্বাগত ২০২৪ সাল। হ্যাপি নিউ ইয়ার। অশুভ শক্তির মিথ্যা বোধ, প্রজন্মের নষ্ট হয়ে যাওয়া মুখগুলোর ‘আস্ফালন’, আর সহিংস রাজনীতির অশুচি কাটিয়ে আজ অস্তাচলে গেল যে সূর্যটি, আজ পূর্বদিগন্তে শাশ্বত সেই সূর্যেরই উদয় হয়েছে নতুন সৌন্দর্যের আবাহন ঘটিয়ে। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে নবোদয় ঘটেছে এক নতুন প্রজন্মের- যে প্রজন্মের কাছে মায়ের মতো পবিত্র তার দেশ, সূর্যের মতো সত্য তার মুক্তিযুদ্ধ আর উন্নয়নের জ্যোতির মতোই দ্যুতি ছড়ানো তার ভবিষ্যৎ। তাই আগামী ৭ জানুয়ারির চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনে একাত্তরের মতোই নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির অবিস্মরণীয় জয় নিশ্চিত করা আর বিজয়ের মাসে স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তিকে শোচনীয় কায়দায় পরাজিত করার দৃঢ় সংকল্প নিয়েই বিদায় নিল ঘটনাবহুল ২০২৩ সাল। দেশের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়েই এবার এসেছে নতুন বছরটি। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চ্যালেঞ্জের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী একটি অংশ নির্বাচন বর্জন করে মেতেছে নতুন করে অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতার পথে। অতীতের মতো আবারও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করছে না তারা। এই অপশক্তির চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতা মোকাবিলা করে আসন্ন নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রকে আবারও পরাজিত করার নানা চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু হলো নতুন আরও একটি বছর। তবে নতুন বছরে সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের একটি প্রশ্ন থেকেই গেছে। আর তা হলো চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকার নির্বাচন বানচালের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতাকারীদের কী দমন করতে পারবে? দুর্নীতি-সাম্প্রদায়িক-জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তিময় দেশ উপহার দিতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেশবাসীকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূুর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ব্যালটের রায়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন পথে যাবে? আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কী আবারও অন্ধকারের যুগে ধাবিত হবে, না কি লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা ও মহান মুুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে ব্যালটের মাধ্যমে বিজয়ী করে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে? নতুন বছরে দেশের মানুষ এসব বিষয়ে নতুন করে শপথে বলীয়ান হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের কৌতূহল, শঙ্কা এবং আলোচনা এখনো তুঙ্গে। জনমনের প্রত্যাশা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার পথ ধরেই। স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রতি বছর পহেলা জানুয়ারি আমাদের মধ্যে আসে। আমরা আলোড়িত হই। আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে আমরা অঙ্গীকার করি, নতুন বছর নতুনভাবে চলতে। নতুনভাবে জীবন-যাপন করতে, নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। ব্যক্তিচরিত্র বদলেরও অঙ্গীকার করি আমরা। পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়াই মানুষের সহজাত প্রবণতা। তবে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বছরটি কেমন গেল, তার হিসাব-নিকাশ সবাই করে থাকেন। মানুষের সুখ-দুঃখ, শান্তি-অশান্তি, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত ছিল বাঙালি জাতির জন্য ২০২৩ সাল। একদিকে উন্নয়নের নবতর যাত্রায় যোগ হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও বেশকিছু মেগা প্রকল্প। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার জাঁতাকলে পড়ে মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, ভয়াল অগ্নিসন্ত্রাসের বছরও ছিল বিদায়ী ২০২৩ সাল।  এসব মোকাবিলার নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বছর, ২০২৪ সাল। অন্যান্য বছরের তুলনায় বিদায়ী বছরটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেও, লক্ষ্যচ্যুত হয়নি বাংলাদেশ। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র নব্য আধিপত্যবাদ মোকাবিলা করেও অব্যাহত রেখেছে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। তবে একই সময় যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা, ডলার সংকটসহ মজুতদারীর কারণে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। বছর শেষে শঙ্কা কাটিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো বার্তা দিয়েছে অর্থনীতি। রাজনৈতিক সংঘাত এড়ানো গেলে, সরকার স্থিতিশীল হলে, সমাজের অনৈক্য দূর করা গেলে আগামী বছর উন্নয়নশীল দেশের স্বপ্ন আরও গতি পাবে- এমনটাই মনে করছেন দেশের মানুষ। তবে যা-ই হোক, কালপরিক্রমায় দ্বারোদ্ঘাটন হলো প্রকৃতির নতুন নিয়মে নতুন বছর ২০২৪-এর। চেতনায় জাগ্রত আবহমান সেই মাঙ্গলিক বোধ-অতীতের জীর্ণতা অতিক্রান্ত দিনমাসপঞ্জির হিসাব থাক বিস্তৃতির কালগর্ভে, প্রত্যাশায় বুক বাঁধি নতুন দিনের সূর্যালোকে- তবে উদ্ভাসন হোক সজীব-সবুজ নতুনতর সেই দিনের- যা মুছে দেবে অপ্রাপ্তির বেদনা; জাগাবে নতুন প্রত্যয়ে নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবার প্রেরণা। কিছুটা স্বস্তিতে নিয়ে শুরু হলেও পুরো বিদায়ী বছরটাই রাজপথে নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত ছিল দেশের রাজপথ। বিএনপিসহ বিরোধী দলকে মোকাবিলা আর নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যদিয়েই পার করতে হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে। বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের মিত্রদের দফায় দফায় সরকার উৎখাতের হুমকি, ঘোষিত আল্টিমেটাম রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা এবং বিদেশী নিষেধাজ্ঞার হুমকিসহ আন্তর্জাতিক নানা চাপও সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে দলটি। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে কেউ যাতে আগুন-সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ‘শান্তি সমাবেশ’-এর নামে বিদায়ী বছর জুড়েই রাজপথে সরব থেকেছে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। বিরোধী পক্ষের সকল আল্টিমেটাম সফলভাবে মোকাবিলা করে এখন সর্বাত্মক ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগসহ তাদের মিত্র অসংখ্য রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন করে অতীতের মতো বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের মিত্ররা চোরাগোপ্তা হামলা, নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তা মোকাবিলা অব্যাহত রেখেই নতুন বছরে পা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। বিদায়ী পুরো বছরজুড়ে বিরোধী দলকে মোকাবিলায় সফলতার পাশাপাশি সরকারের তাক লাগানো মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় বড় প্রকল্পের কাজ শেষ করে তা উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের মানুষের মন জয় করতেও সফল হয়েছেন দলটির প্রধান, টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদায়ী বছরে দেশবাসী দেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ম্যাজিক। অন্যদিকে, বড় আশা নিয়ে বিদায়ী বছরটা শুরু করলেও হতাশায় শেষ হয়েছে বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী তাদের মিত্রদের। বিদায়ী বছরটাতেই ক্ষমতারোহণের স্বপ্ন পূরণে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল বিএনপি। এর পেছনে ছিল আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতা। আন্দোলন জমাতে ব্যর্থ হলেও জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী অনেক দেশ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠায় আশায় বুক বেঁধেছিল বিএনপি নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরা। বিশেষ করে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের তোয়াক্কা না করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দৌড়াদৌড়িতে অতি মাত্রায় আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন বিএনপি নেতারা। সরকার পতনের দিনক্ষণ প্রকাশ্যে ঘোষণাও দিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু নেতৃত্বের অভাবে এবং অতীত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে রাজপথে আসায় সেই স্বপ্ন তাদের শেষ হয়ে যায়। আপাতত সব কিছু থমকে গেছে। থেমে গেছে বিদেশীদের তৎপরতাও। দলটির নেতাকর্মীরা এখন বলছেন- ‘ভাগ্য ছিল, কপালে নেই!’ ফলে বিদায়ী বছরটাও সরকার হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গের বছর হয়ে থাকল বিএনপিসহ তাদের মিত্রদের জন্য। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চ্যালেঞ্জের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপিসহ তাদের কিছু মিত্র নির্বাচন বর্জন করলেও অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলই উঠেছে নির্বাচনী ট্রেনে। নির্বাচন বর্জন করতে সরকারকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে রাজপথের পরিবর্তে গোপনে অতীতের মতো চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, রেলে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও অতীতের মতো ভয়াল নাশকতামূলক কর্মকা- অব্যাহত রেখেছে বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উৎসবমুখর পরিবেশে এবং অধিক সংখ্যক ভোটারের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতিতে নির্বাচন সম্পন্ন করার নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন বছরে পা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টানা চতুর্থবারের মতো জনগণের ভোটে দলকে ক্ষমতায় এনে বাকি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছরে সত্যিই বদলে গেছে পুরো বাংলাদেশ। বিদায়ী বছরে খুলে গেছে বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক চরম সংকটের মধ্যেও দেশের ইতিহাসে প্রথম বিদ্যুৎ চালিত বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প স্বপ্নের মেট্রোরেলও এখন ছুটছে বুক ফুলিয়ে।...

থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা

থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা

আসন্ন সংসদ নির্বাচন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এম...

থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ঢাকা থাকবে কড়া নিরাপত্তায়।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ঢাকা থাকবে কড়া নিরাপত্তায়।

২০২৩ সালকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়...

Page 5 of 5 1 4 5

POPULAR NEWS

EDITOR'S PICK